বাংলাদেশ ডেস্ক | বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪
ক্ষুধার্ত গাজার বাসিন্দারা নিঃশব্দে ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করছেন। ইসরায়েল খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। রামাল্লায় চলছে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের হামলা।
অন্যদিকে মিসরের রাজধানী কায়রোতে চলছে যুদ্ধবিরতির আলোচনা। গাজায় ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কঠোরতম সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইসরায়েলকে ‘শুধু একটি যুদ্ধবিরতি’ রাজি হতে জোর আহ্বান জানিয়েছেন। চলমান সামরিক অভিযানকে ‘ভুল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশের মতো আজ বুধবার ফিলিস্তিনেও ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হচ্ছে। মুসলিমদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব হলেও গাজার বাসিন্দাদের জন্য এবারের ঈদ বেদনাদায়ক। গাজাবাসী প্রায় অর্ধবছর ঘরবাড়ি ছেড়ে দূরে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।
শুধু যাঁরা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, তাঁরাই নন, যাঁরা পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন তাঁদের এই ঈদ যে শোক আরও বাড়িয়ে তুলেছে। অনেকে আজ ঈদের নামাজ পড়েছেন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া মসজিদের আঙিনায় অথবা পাশের ফাঁকা জায়গায়।
গাজা উপত্যকায় রেড ক্রিসেন্ট দলের সদস্য ফুয়াদ আবু খামাশ কাজ করার সময় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন। তাঁর মা আল জাজিরাকে বলেন, ‘ঈদ দুঃখের… সকাল থেকে আমি আমার ছেলের কবরে [বসে আছি]।’
সম্প্রতি স্বামীকে হারানো আরেক নারী উম্মে আহমদ বলেন, ‘আজকে ঈদের মতো লাগছে না। আমরা যখন ঘুম থেকে জেগে উঠি, আমি আমার স্বামীকে মিস করি, তিনি এই যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘কোনো ঈদের পরিবেশ বা শিশুদের জন্য ঈদের পোশাক নেই। আমরা ঈদের কেক তৈরি করতে পারিনি। এ বছর ঈদ নেই; আজ আমার মন খারাপ।’
এদিকে ঈদের দিনও ইসরায়েলি অভিযান থামেনি। ঈদের সকাল থেকেই গাজা উপত্যকার আকাশসীমার ওপর দিয়ে তাদের যুদ্ধবিমান উড়ছে। তাদের ট্যাঙ্কগুলো মুসলমানদের অনুভূতি ও আমাদের অনুভূতির প্রতি সুস্পষ্ট অবহেলা আর উপেক্ষা! গাজার আকাশে উড়ছে ইসরায়েলি ড্রোন।
Posted ১০:০৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh